কলেজ পরিচিতি:
উত্তরবঙ্গের ইতিহাস সমৃদ্ধ নাটোর জেলা সদর থেকে ২৬ কি:মি: দূরে লালপুর উপজেলাধীন প্রসিদ্ধ রেলওয়ে জংশন আব্দুলপুরের সবুজ শ্যামল ছায়া ঘেরা গ্রামীণ পরিবেশে আব্দুলপুর সরকারি কলেজ অবস্থিত। ঐতিহ্যবাহী ও স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কলেজটি সুপরিচিত। নাটোর জেলার বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগীদের প্রাণন্তকর প্রচেষ্টায় ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিটটি স্থাপিত হয় ১৯৬৮ সালে। কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ জনাব জহুরুল ইসলাম-এর সুদক্ষ ব্যবস্থাপনায় কলেজটি মজবুত ভীত পায়। কলেজটি ১৯৬৮ সালে ১লা জুলাই থেকে শুধুমাত্র উচ্চমাধ্যমিক ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালে স্নাতক (বিএ ও বিকম) এবং ১৯৭৮ সালে স্নাতক (বিএসসি) চালু হয়। এর ফলে শিক্ষার প্রসারে এ কলেজটি অত্র এলাকায় ব্যাপক পরিচিত হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে জনগনের প্রাণের দাবী ও আশার প্রতিফলনে কলেজটি ১৯৮৫ সালে জাতীয়করণ করা হয়। শিক্ষার উচ্চতর বিকাশ সাধনে অত্র প্রতিষ্ঠানে ২০১২ সাল থেকে অনার্স কোর্স চালু করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় কলেজটিতে বর্তমানে ০৮টি বিষয়ে: যথা- বাংলা (২০১১-২০১২), অর্থনীতি (২০১৩-২০১৪), প্রাণিবিদ্যা (২০১৪-২০১৫), ব্যবস্থাপনা (২০১৬-২০১৭), হিসাববিজ্ঞান (২০১৬-২০১৭), দর্শন (২০১৭-২০১৮), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি (২০১৭-২০১৮) ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান (২০১৭-২০১৮) অনার্স কোর্স চালু আছে।
শিক্ষার্থীদের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে উদ্ভিদবিদ্যা এবং ভূগোল বিষয়ে অনার্স খোলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। সম্মান, স্নাতক (পাশ) এবং উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে সর্বমোট প্রায় ৩০০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। বর্তমানে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ মহোদয়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় পাঠদানে কর্মরত রয়েছেন ৩১ জন শিক্ষক (মোট সৃষ্টপদ ৫৩ শূণ্যপদ ২২)। বর্তমান কলেজে প্রশাসন শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ তৈরী ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর। সে লক্ষ্যে কলেজটিতে একটি আইসিটি ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাশের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তকের কঠিন পাঠগুলোকে সহজবোধ্য ও চিত্তাকর্ষক করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
শিক্ষার যথাযথ বিকাশ সাধনের জন্য প্রতিষ্ঠানিক অবকাঠামো ও সহায়ক সুযোগ সুবিধা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে, যা অত্র কলেজটিতে মোটামুটিভাবে বিদ্যমান। এখানে বর্তমানে ৩টি একাডেমিক ভবন, ২টি শিক্ষার্থী কমন রুম, ১টি সুবৃহৎ খেলার মাঠ, ১টি কেন্দ্রিয় লাইব্রেরী, ৮টি সেমিনার কক্ষ এবং ৭টি বিজ্ঞান গবেষণাগার রয়েছে। এছাড়াও এখানে শিক্ষা সহায়ক সংগঠন হিসেবে বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আর্তমানবতার সেবায় অত্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করে চলেছে।